জেরিন আহমেদ: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ঐতিহ্যগত সংস্কৃতি, জীবনমান এবং মূল্যবোধ বিরোধী কার্যক্রম পাঠ্যপুস্তকে মেনে নিতে পারি না। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, আপনারা কেউ ইস্যু তৈরি করবেন না; আমরা সংশোধনের ব্যবস্থা নিচ্ছি। ইস্যু তো আমরা তৈরি করছি না, বরং শিক্ষামন্ত্রী ইস্যু তৈরি করে দিয়েছেন। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, অবিলম্বে পাঠ্যপুস্তকের অসঙ্গতিগুলো বাতিল করতে হবে।

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল। বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে চাই। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চাই, ভোটাধিকার চাই; গণতন্ত্র ফিরে পেতে চাই। নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে এখন কেউ ভোট দিতে যেতে চায় না। আজকে যে সংসদ আছে সেটা হলো একদলীয় ক্লাব অব আওয়ামী লীগ। তাই আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও আমাদের গণতন্ত্র ভোটাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য রাজপথে রক্ত দিতে হচ্ছে, প্রাণ দিতে হচ্ছে। তারপরও আমরা আমাদের অস্তিত্ব রক্ষা, দেশের মানুষকে বাঁচাতে চাই। 

ফখরুল বলেন, আমরা একটি অসম যুদ্ধ সংগ্রাম করছি। যেখানে আমাদের প্রতিপক্ষ অত্যন্ত প্রভাবশালী। যাদের হাতে রয়েছে রাষ্ট্রশক্তিসহ বন্দুক পিস্তল গ্রেনেড, যা তারা ছুড়ে মারে আর আমাদের নামে মামলা দেয়।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, জনগণের উত্তাল তরঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকার ভেসে যাবে। বিএনপির ঘোষিত ১০ দফার প্রথম দাবি হচ্ছে এই সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্তি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে একটি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে তাদের অধীনে নির্বাচন হবে। জনগণের মধ্যে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে আমরা সেই নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনগণের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করব। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব