প্রকাশিত: Wed, Jan 25, 2023 3:41 PM
আপডেট: Tue, Apr 29, 2025 8:36 PM

আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি সব বিভাগীয় সদরে সমাবেশ

তামাশার নির্বাচন আর করতে দেওয়া হবে না: মির্জা ফখরুল

সালেহ্ বিপ্লব: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে আমাদের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এই আওয়ামী লীগ আবারও তামাশার নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু না, এবার জনগণ নিজেই নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। আর এই জনগণের সাথে থেকে এই দানবীয় সরকারকে বিদায় করা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব।

বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির যৌথ উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের অংশ এই কর্মসূচী। বিএনপির পাশাপাশি সমমনা দলগুলো নিজ নিজ অবস্থান থেকে এই সমাবেশ কর্মসূচী পালন করে। বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ, দুপুর ২টায় এফডিসি ক্রসিংয়ে এলডিপি, বিকাল ৩টায় বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কির কাছে ১২ দলীয় জোট এবং বিকাল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট সমাবেশ করেছে।

বিএনপির সমাবেশ থেকে মির্জা ফখরুল সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকার গঠন এবং নিত্যপণ্যের দাম কমানোসহ ১০ দফা দাবিতে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী বিভাগীয় সদরে সমাবেশের ঘোষণা দেন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন ও চেতনাকে ধ্বংস করেছে স্বাধীনতা যুদ্ধের দাবিদার আওয়ামী লীগ। এই ২৫ জানুয়ারি তারা গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছিল। নতুন প্রজন্ম এ ইতিহাস জানে না। তা তারা মুছে ফেলেছে। কেন গণতন্ত্র হত্যা করেছেন, আওয়ামী লীগের কাছে জিজ্ঞাসা করলেই তাদের গায়ে জ্বালা ধরে। উল্টো বলে বিএনপি নাকি গণতন্ত্র নষ্ট করেছে।

তিনি বলেন, সেদিন আপনাদের একদলীয় বাকশাল কায়েমের প্রতিবাদে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানী, ব্যারিস্টার মঈনুল সরকার থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। পল্লীকবি জসিমউদ্দীন তার পদক প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই আওয়ামী লীগ কখনোই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। ভিন্নমত সহ্য করে না। আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি মওলানা ভাসানীকে সন্ত্রাসী কায়দায় দল থেকে বের করে দিয়েছিল। এরা সন্ত্রাসী দল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ সরকারের সাথে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা মনে করে দেশটি তাদের পৈতৃক সম্পত্তি। জনগণকে তারা প্রজা মনে করে। জনগণও তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। সম্পাদনা: খালিদ আহমেদ