প্রকাশিত: Fri, Jan 27, 2023 4:03 PM
আপডেট: Tue, Apr 29, 2025 8:46 PM

বাঙলাদেশে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ

শামসুদ্দিন পেয়ারা, ফেসবুক থেকে: পৃথিবীর মানচিত্রে চোখ বুলিয়ে দেখুন, কোনো মুসলিম রাষ্ট্রেই গণতন্ত্র নেই। বাঙলাদেশ একটি মুসলিম রাষ্ট্র, কাজেই বাঙলাদেশে কখনো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে, এমন ধারণা করা বোকামি। এখানে প্রথাগত গণতন্ত্রের কোনো ভবিষ্যত নেই। এখানের মানুষ কর্তৃত্ববাদ পছন্দ করে। ক্ষমতাবানের তাচ্ছিল্য ও নির্যাতনকে বাঙালি মুসলমান তার জন্য গৌরবজনক মনে করে। 

এদেশের মানুষ ইহকালের কষ্ট দূর করার চাইতে পরকালের আনন্দ উপভোগ করতে বেশি আগ্রহী। সে লক্ষেই তাদের জীবনের সকল কাজকর্ম, আশা আকাক্সক্ষা ও স্বপ্ন পরিচালিত। তারা স্কুলের চাইতে মাদ্রাসাকে, শিক্ষকের চাইতে মোল্লা-মৌলভিকে,  জ্ঞানার্জনের চেয়ে জ্ঞানবর্জনকে, বিজ্ঞানের চাইতে কল্পকাহিনীকে, ঔষধের চাইতে ঝাড়ফুঁক তাবিজ কবচকে, ক্লাস লেকচারের চাইতে ওয়াজ মাহফিলকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করে, মাটির তলায় সাতটি অতি উন্নত পৃথিবী আছে এবং এন্টারকোটিক নামের এক সুড়ঙ্গপথ দিয়ে সেখানে যেতে হয় বলে বিশ্বাস করে এবং বাড়ষঁঃরড়হরংস-কে মিথ্যা ও পৎবধঃরড়হরংস-কে সত্য মনে করে। 

তারা বিজ্ঞানের চাইতে বিশ্বাসের উপর বেশি আস্থাশীল। জ্ঞান চলমান, নিয়ত পরিবর্তনশীল ও নবায়নযোগ্য। বিশ্বাস স্থির, নিশ্চল ও অপরিবর্তনীয়। জ্ঞান জলস্রোতের ন্যায় এগিয়ে চলে বৃহত্তর জ্ঞানসমুদ্রের দিকে, বিশ্বাস স্থির প্রস্তরের ন্যায় একঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকে, জ্ঞানপ্রবাহের পথে বাধা সৃষ্টি করে, কিন্তু সফল হয় না। 

তত্ত্বকথা বাদ দিয়ে বলি, বাঙলাদেশে জীবনেও গণতন্ত্র আসবে না। এখানের লোক প্রভুবাদী, কর্তাভজা ও বীরপুজারী। এরা নিজের পিতাকে অভুক্ত রেখে জাতির পিতাকে পুষ্পমাল্যভূষিত করে। নিজের কপালের চাইতে নেতা-নেত্রী ও ক্ষমতাবানের পদমূলকে অধিক পবিত্র গণ্য করে এবং নিজের মান মর্যাদা ভুলে ঐ ললাট প্রভুর চরণে স্থাপন করতে পারলেই দো-জাহানের নেকি ও মকসুদ হাসিল হয়েছে মনে করে। 

এদেশের জন্য আলাদা কিছু ভাবতে হবে। আলাদা ধরণের গণতন্ত্র।