প্রকাশিত: Tue, Dec 13, 2022 6:11 PM
আপডেট: Tue, Jun 17, 2025 5:13 AM

নয়াপল্টনে সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনায় বিদেশি মিশনগুলোতে সরকারের চিঠি

মহসীন কবির: গত বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা সম্পর্কে ঢাকার ক‚টনৈতিক মিশনগুলোকে বিস্তারিত জানিয়েছে সরকার। সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকার ক‚টনৈতিক মিশনগুলোতে এ বিষয়ক চিঠি পাঠিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

চিঠিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তারের কারণ উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়েছে, সহিংসতার পরিকল্পনা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলায় উস্কানি দেওয়ায় অভিযোগে বিএনপির এই দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই দুই সিনিয়র নেতাসহ অন্যদের নামে চারটি মামলা রয়েছে। ৮ই ডিসেম্বর ডিবি পুলিশ মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। পুলিশের ওপর হামলার পরিকল্পনায় তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে পরবর্তীতে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়। আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করেন এবং কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

চিঠিতে বলা হয়, নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ৭ ডিসেম্বর দলটির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ করেন। সেদিন সেখানে তাদের পূর্বনির্ধারিত কোনো কর্মসূচি ছিল না। এমনকি পুলিশের অনুমতিও নেয়নি তারা। অবরোধের কারণে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ ওই এলাকায় যান চলাচল চরমভাবে বিঘিœত হওয়ায় পুলিশ তাদের সড়ক ছেড়ে দিতে অনুরোধ করে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা তা অগ্রাহ্য করে পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা, ইটপাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করে। পাশাপাশি যানবাহনে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। তাদের বেপরোয়া হামলায় পুলিশের ৪৯ জন সদস্য আহত হন, যার মধ্যে একজনের অবস্থা বেশ গুরুতর। সেই ঘটনায় দুঃখজনকভাবে একজন পথচারী নিহত হয়েছেন জানিয়ে সরকারের তরফে বলা হয়, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ ঘিরে ঢাকায় বেপরোয়া সহিংসতার পরিকল্পনা করেছিল বিএনপি। দলটির নেতাদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করা উচিৎ ছিল। কিন্তু তারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন না বরং তাদের উদ্দেশ্য ছিল অশান্তি সৃষ্টি করে অসাংবিধানিক শক্তিকে ক্ষমতায় আনা। তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো রকম ঝুঁকি নেয়নি। যথাসময়ে পুলিশের কার্যকর পদক্ষেপের কারণে জনগণের জানমালের বড় ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো গেছে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব