মুযনিবীন নাইম: [২] বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) সব রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে ‘জরুরি বিজ্ঞপ্তির’ কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বুয়েটের শহীদ মিনারসংলগ্ন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ছাত্রলীগের সমমনা একদল শিক্ষার্থী।

[৩] সোমবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। সেখানে তারা কিছুক্ষণ ‘জয় বাংলা’ স্লোগানও দেন। ছাত্রলীগের তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ও বুয়েটের সদ্য সাবেক ছাত্র হাসিন আজফারসহ ১১ জন শিক্ষার্থী এতে অংশ নেন। অন্য ১০ শিক্ষার্থীও ছাত্রলীগ-সমর্থক বলে জানা গেছে। এই কর্মসূচির সময় শহীদ মিনারের সামনেই অবস্থান করছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ কনক।

[৪] বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর বুয়েটের ২০তম ব্যাচের ছাত্র আশিক আলম বলেন, উচ্চ আদালতের রায়ের মাধ্যমে নিজেদের রাজনৈতিক মত প্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার ফিরে পেয়েছি। জয় বাংলা স্লোগান ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে আমরা এই রায়কে সাধুবাদ জানালাম। প্রগতিশীল সব সংগঠনকে আমরা বুয়েটে স্বাগত জানাই। অন্ধকার কোনো সংগঠন এবং স্বাধীনতাবিরোধী কোনো চেতনা বুয়েটে ঠাঁই পাবে না।

[৫] ফুল দেওয়ার আগে আশিক আলম ক্যাম্পাসে সুন্দর রাজনীতির প্রত্যাশা করে বলেন, বুয়েটের ছাত্ররাজনীতি যেন পুরো দেশের সামনে দৃষ্টান্ত রাখতে পারে। সব প্রগতিশীল সংগঠন যেন বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি শুরু করে এবং শিক্ষার্থীদের অধিকারের জন্য লড়াই করে, এটাই আমাদের চাওয়া। পরিবেশ তৈরি হলে যদি ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেওয়া হয়, তাহলে আমরা অবশ্যই খুশি হব।

[৬] ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা হাসিন আজফারও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, আদালতের রায়ের মাধ্যমে বুয়েটে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠিত হলো, এমন নয়; বরং ছাত্ররাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হলো। একটি পক্ষ কারও ইন্ধনে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি চাইছে না। বুয়েট ক্যাম্পাসে সবার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে। কিন্তু এখানে স্বাধীনতাবিরোধী কোনো মতাদর্শের উত্থান আমরা হতে দেব না। সম্পাদনা: ইকবাল খান