মাসুদ আলম: [২] দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আরও ৫১ জনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। একই কারণে এর আগের দুই ধাপে ১৪১ জনকে বহিষ্কার করা হয়। 

[৩] সব মিলে এবারের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ১৯২ জন নেতাকে বহিষ্কার করল বিএনপি। বুধবার বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব  কথা জানানো হয়। 

[৪] বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পদ থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত নেতাদের মধ্যে ১৭ জন চেয়ারম্যান পদে, ২৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে এবং ৯ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী রয়েছেন।

[৫] চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে বহিষ্কৃত নেতারা হলেন দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলা বিএনপির সদস্য মো. মোকাররম হোসেন, রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা বিএনপির সদস্য মোকাররম হোসেন সুজন, গঙ্গাচড়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুজ্জামান প্রামাণিক, রংপুর সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. কাইয়ুম, কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহীন সিকদার, পীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সুকুমার রায়, গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মো. সাইদুর রহমান, নওগাঁর আত্রাই উপজেলা বিএনপির সদস্য একরামুল বারী ও সিরাজগঞ্জের শাহজাহানপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য হুমায়ুন কবির। 

[৬] চৌহালী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মাহফুজা বেগম, খুলনার ডুমুরিয়া জেলা যুবদলের সাবেক সহসভাপতি মো. মনিবুর রহমান, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আশরাফ আলী হাওলাদার, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন বাদশা, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলা বিএনপির সদস্য আরিফুল ইসলাম ও হবিগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য মহিবুল ইসলাম। সম্পাদনা: এম খান