প্রকাশিত: Sun, Aug 4, 2024 10:39 AM
আপডেট: Tue, Sep 17, 2024 9:32 PM

[১]মানুষ প্রতিটি হত্যার নিরপেক্ষ তদন্ত ও বিচার চায়: জি এম কাদের [২]ছাত্রদের ৯ দফায় সমর্থন

সালেহ্ বিপ্লব: [৩] জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রতিটি মৃত্যুর ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে বিচারকার্য শুরু করতে হবে। 

[৪] শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইন্টারনেট পরিষেবা পুরোপুরি চালু না হওয়ায় সাধারণ মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করতে পারছে না। এতে তথ্য আদান-প্রদান বিঘ্নিত হচ্ছে মারাত্মকভাবে। আবার, দেশের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে প্রবাসীরা স্বজনদের খোঁজ নিতে পারছে না। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় না পাঠানোর হুমকি দিচ্ছে। যা দেশের জন্য খুবই ভয়াবহ।

[৫] তিনি আরও বলেন, উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশ গমেনেচ্ছু ছাত্ররা যোগাযোগ করতে পারছে না বিদেশের সঙ্গে। ইন্টারনেট পুরোপুরি চালু না হলে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে।

[৬] বিবৃতিতে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দিয়ে, শতশত মানুষের জীবন নিয়ে রাষ্ট্র আবার শোক পালন করছে। দেশের মানুষ এ ধরনের রাষ্ট্রীয় শোক দেখতে চায় না, দেশের মানুষ চায় প্রতিটি হত্যার নিরপেক্ষ তদন্ত এবং সে অনুযায়ী বিচার। 

[৭] পৃথক বিবৃতিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের নয় দফা দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে তা মেনে নিতে সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু। 

[৮.১] তিনি বলেন, কোটা আন্দোলনের দাবিতে চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরুতে জাতীয় পার্টি তাদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন দেয় এবং তাদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারকে আহ্বান জানায়।

[৮.২] একইসঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বিগত বাজেট অধিবেশনে কোটা সংস্কারের পক্ষে বিশদভাবে বক্তব্য রেখে কোটা সংস্কারের প্রস্তাব মেনে নেয়ার আহ্বান জানান। কিন্তু সরকার সেই দাবি প্রাথমিকভাবে মেনে না নিয়ে ছাত্রলীগকে দিয়ে বলপূর্বক আন্দোলন দমানোর উদ্যোগ নেয়।

[৯] মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের হাতে ২৭০ জনেরও বেশি নিরস্ত্র ছাত্র-জনতা প্রাণ হারায়। ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানা যায়। পুলিশ প্রকাশ্যে গুলি করে ছাত্র-জনতা হত্যা করে পরে সেই মামলায় ছাত্র-জনতাকেই আসামি করে।

[১০] তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে ছাত্রদের ওপর নির্যাতন করা হবে না বলা হলেও বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। ছাত্র-জনতার ওপর পুলিশের টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট, ছররা গুলি, স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড, বহুতল ভবন এবং হেলিকপ্টার থেকে গুলি করা হয়। ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও পুলিশ যৌথভাবে আক্রমণ এখনও চলমান। গ্রেপ্তার করা হয় ২০ হাজারের বেশি মানুষকে।

[১১] জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, উপরোক্ত অবস্থায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে যে ৯ দফা দাবি পেশ করা হয়েছে তার প্রতি জাতীয় পার্টি পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করে এবং ৯ দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারকে আহবান জানাচ্ছে। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী