ইমরুল শাহেদ: ভূমিকম্প ও বন্যায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে দুই দশকের যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান। বুধবার দেশটির দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, পূর্বাঞ্চলে ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে। টোলোনিউজ
আফগানিস্তানের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশের ১৮টিতেই দেখা দিয়েছে আকস্মিক বন্যা। এ বন্যায় সে দেশে এখন পর্যন্ত ৪০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যাকবলিত প্রদেশগুলো হলো - কুনার, নানগারহার, নুরিস্তান, লাঘমান, পানশির, পারওয়ান, কাবুল, কাপিসা, ময়দান ওয়ার্দাক, বামিয়ান, গজনি, লোগার, সামানগান, সার-ই-পুল, তাখার, পাকতিয়া ও দাইকুন্দি। পাকতিয়া এবং নানগারহার ইতোমধ্যেই ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয়েছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ডেপুটি মন্ত্রী মাওলাওয়াই শরফুদ্দিন মুসলিম বলেছেন, ‘বন্যায় আহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বন্যাকবলিতদের দুর্যোগপূর্ণ এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং তাদেরকে তাঁবু সরবরাহ করা হয়েছে।’
কুন্দুজের অধিবাসী আহমাদুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, কুন্দুজের শত শত একর জমি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে এবং এখনও বন্যা পরিস্থিতির দৃশ্যমান কোনো উন্নতি হয়নি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় বলেছে, স্থানীয় বাসিন্দারা অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
নানগারহার প্রদেশেল আর্চিন জেলার বাসিন্দা হামিদুল্লাহ শিনওয়ারি বলেন, গত মঙ্গলবার রাত থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। অতি বর্ষণে বাড়ির ছাদ ধসে আর্চিন জেলায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন আরও পাঁচ জন।
ভূমিকম্প বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের জন্য সহায়তা ঘোষণা করেছে চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও তুরস্ক। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব