এম. মোশাররফ হোসাইন: মহাকাশ থেকে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন তথ্য ও ছবি পৃথিবীতে পাঠিয়েই চলেছে হাবল টেলিস্কোপ। পাশাপাশি রয়েছে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপও। এই যন্ত্রটির পাঠানো ব্ল্যাক হোলের ছবি সম্প্রতি শোরগোল ফেলে দিয়েছিল বিশ্বে। এই সবের মধ্যেই এবার রহস্যময় রেডিও সিগন্যালের সন্ধান পেলেন মহাকাশ বিজ্ঞানিরা। তারা জানিয়েছেন, কিছু সময় পরপর পৃথিবীতে রেডিও সিগন্যাল আসছে। তা যে স্পেস সেন্টার বা পৃথিবী থেকে পাঠানো কোনো যন্ত্র থেকে নয়, সে বিষয়ে তারা নিশ্চিত। মহাকাশ বিজ্ঞানের ভাষায়, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে যে ম্যাগনেটিক ফিল্ড রয়েছে তা বহির্বিশ্বের ক্ষতিকর রশ্মিকে আটকে প্রাণ বাঁচানোর কাজ করে চলেছে। পাশাপাশি এই ক্ষেত্রটি আছে বলেই রেডিও সিগন্যালও সেই মতো কাজ করে এবং বাইরের থেকে এই নিয়মে সংকেত পাঠানো যায়। তবে কি এমন কোনো পৃথিবী মহাকাশে আছে যেখানে প্রাণের স্পর্শ রয়েছে, যারা পাঠাচ্ছে এই রেডিও সিগন্যাল?

রেডিও সিগন্যালের ফ্রিকোয়েন্সি ও পৃথিবীতে আসার সময় হিসাব করে বিজ্ঞানিরা বের করেছেন যে, পৃথিবী থেকে ১২ হাজার আলোক বর্ষ দূরের কোনো গ্রহ কিংবা নক্ষত্র, বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে এক্সোপ্ল্যানেট বলে সেখান থেকে আসছে এই বেতার বার্তা। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি সেখানেই ভিনগ্রহীদের অস্তিত্ব ও পৃথিবীর বাইরেও প্রাণের স্পর্শের হদিশ মিলতে পারে?

বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, ওয়াইজেড কেটি নামের কোনো নক্ষত্র থেকে নির্দিষ্ট সময় পর পর এই শক্তিশালী বেতার বার্তা আসছে। নিউ মেক্সিকোতে বসানো কার্ল জি. জ্যান্সকি নামক শক্তিশালী টেলিস্কোপটি দিয়ে তার খোঁজও চালানো হচ্ছে। যদিও সেই সিগন্যালের অর্থ এখনো অধরাই বলে জানান হয়েছে।

কলরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের গবেষক সেবেস্তিয়ান পিনেডা বলেন, আমরা একটি প্রাথমিক সিগন্যাল বার্স্ট লক্ষ্য করি। সত্যিই সেটা চমকে দেওয়ার মতো। এরপর বেশ কয়েকবার এই সিগন্যাল আসে যা বুঝিয়ে দেয়, হয়তো কোথাও কিছু একটা রয়েছে।

গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, গ্রহ হোক কিংবা নক্ষত্র ম্যাগনেটিক ফিল্ড না থাকলে এমন শক্তিশালী রেডিও সিগন্যাল পাঠানো অসম্ভব। যেহেতু একাধিকবার সিগন্যাল পৃথিবীতে এসে পৌঁছেছে তার সঠিক অবস্থান ও উত্তর পেতে মরিয়া মহাকাশ গবেষকরাও।